How take care a seed for plantation এই কনটেন্টটা না পড়লে আপনি জানতেই পারবেন না কিভাবে গাছ লাগাবার আগে মাটি তৈরী করতে হয়। গাছ দুই ভাবে হয় এক বীজ থেকে বা অন্য ভাবে যা কলম থেকে বানানো হয়। এছাড়াও টবে গাছ আমরা লাগাই কিন্তু মাঝে মধ্যেই টবের গাছকে স্থান পরিবর্তন করাতে হয় কারন তার শিকড়ের শক্তি বাড়ানোর জন্য। মাটিতে গাছ লাগানোর এই ঝামেলা না থাকলেও সরাসরি মাটিতে বীজ পুতে গাছ বানানো খুব ই কষ্টকর তাই গাছকে ছোট বাচ্চার মত কলে পীঠে মানুষ করে তুলতে হবে।
টবে গাছ লাগানোর আগে বীজ থেকে তার চারা বানানো হয়। বীজ থেকে চারা বানানোর যে প্রক্রিয়া সেটা যথেষ্ট সুক্ষ কাজ। আজকাল Facebook ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু গ্রুপ আছে যেখানে গাছের পরিচর্যা-র বিষয়ে বলা হয়। সেখানে অনেক সময়ই চারা গাছ আদান প্রদান করাও হয়ে থাকে। কিন্তু এই চারা গাছের মাটি, জলবায়ু, খাদ্য সব কিছুই নির্ভর করে তার বেড়ে ওঠার উপর। আমরা সবাই জানি গাছেরও প্রান আছে। ঠিক যেমন আপনার বাড়ির পোষ্যটি তার পরিচিত জায়গার পরিবর্তন হলে কষ্ট পায় একই ভাবে গাছের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়। কিন্তু আজকাল আমরা অনেক কিছুই অপরকে দেখে করে থাকি সম্পূর্ন না জেনে। তাই সেই চারা গাছ আদান প্রদান এর পরেও গাছ ঠিক মত বাড়ে না বা ফুল ঠিক মত ফোটে না।
Table of Contents
চারাগাছের পরিচর্যা
- বীজ থেকে চারা তৈরি করে বাগানে লাগানাের মধ্যে যথেষ্ট পরিচর্যার প্রয়ােজন হয়। যেগুলি হল,
- চারাগাছে সমানভাবে জল দেওয়া
- চারাগাছকে একজায়গা থেকে তুলে অন্য জায়গায় লাগানাের ধকল সহ্য করার ক্ষমতাযুক্ত করা
- ফুল ফোটার জায়গাতে চারা লাগানাে
- টবে গাছ লাগানাে
- টব পাল্টে চারা লাগানাে
চারাগাছে জলসেচ
যে সব ফুলের বীজ সূক্ষ্মাতি সূক্ষ্ম সেই সব অঙ্কুরিত বীজে খুব সাবধানতার সঙ্গে জল দিতে না পারলে, সব চারা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। চারাগাছে যেমন জল কম হলেও ক্ষতি, তেমনি বেশি হলেও ক্ষতি। এজন্যে ফুলচাষীকে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে জল দেওয়ার ব্যাপারে। আর জলসেচের সময়—আবহাওয়ার তাপমাত্রা, বায়ুর আর্দ্রতা, সূর্যের আলাের উষ্ণতা, ছায়াতে ও খােলা জায়গাতে বীজতলার উপর আচ্ছাদন দেওয়া, ইত্যাদি নানা বিষয়ের উপর নজর রাখতে হবে। | চারাগাছের গােড়া স্যাতসেঁতে হওয়া দরকার। কিন্তু কোনােরকমেই জল দাঁড়িয়ে বা জমে থাকার মতাে অবস্থা যেন না হয়।
চারা সইয়ে নেওয়া
যতাে সাবধানেই চারাগাছ নেড়ে লাগানাে হােক না কেন, গাছ কিছুটা আঘাত পাবেই। এছাড়া শীতের মরসুমী ফুলের গাছ চরম প্রাকৃতিক বৈপরিত্যের মধ্যে বাড়ে। তাদের পক্ষে অনেক বেশি পরিচর্যার প্রয়ােজন। এই সব গাছকে যথেষ্ট সহনশীল করাবার জন্যে ছােট টবে লাগিয়ে কিছুদিন পরে আবার টব বদল করে সেগুলির সহ্যশক্তি বাড়াবার চেষ্টা করা হয়। চারাকে শক্ত করার আর একটি উপায় হলাে, বীজতলা থেকে খুব ছোট টবে এবং তারপর অপেক্ষাকৃত বড় টবে তারপর স্থায়ীভাবে যে কোনো বা বাগানে লাগাতে পারলে চারাগাছের মৃত্যুর হার কম হয়। লক্ষ্য করে দেখা গেছে সূক্ষ্ম বা অতিসূক্ষ্ম বীজ থেকে সমস্ত চারা একসঙ্গে বার হয় না। একটি পাত্রে নানা রকম বয়সের চারা থাকলে তার পরিচর্যা করতে খুবই অসুবিধা হয়। এক্ষেত্রে যে চারাগুলি আগে উঠেছে। সেগুলি সাবধানে তুলে ছােট টবে লাগাতে পারলে দু’রকম বয়সের গাছেরই পরিচর্যার সুবিধা হয়। এই কাজে আরও একটা সুফল আছে। অনেক মরসুমী ফুলগাছ আছে যাদের নেড়ে লাগালে গাছ বেশ ঝকালাে হয় এবং ফুলও বড় হয়। সেই সব চারাকে একবার বা দুইবার নেড়ে লাগালে গাছের সহ্যশক্তি বেশি হবে। এবং ফুলও বড় হয়। তবে মরসুমী ফুলের মধ্যে এমন কিছু গাছও আছে যারা নেড়ে লাগানাে একেবারেই সহ্য করতে পারে না। সেইসব বীজ সরাসরি বাগানে লাগানাে হয়।
টবে চারা পাল্টানো
টবে বহুবর্ষবীজী ফুলের গাছ বসালে মাঝে মাঝে টব এবং মাটি পাল্টাতে হয়। টব পাল্টানো প্রস্তুতি হিসেবে গাছের গােড়ায় জল দিয়ে ভালােভাবে ভিজিয়ে নিতে হবে। এরপর বাঁ হাতের তর্জনী ও মধ্যমার মধ্যে গাছের কাণ্ড রেখে টবটিকে উল্টো করে ধরতে হবে অর্থাৎ গাছটা এবং টবটা উল্টোভাবে বাঁ হাতের চেটোর উপর থাকবে। এখন ডান হাত দিয়ে ঝাঁকুনি দিলেই টব থেকে গাছটি মাটি সমেত বেরিয়ে আসবে। সহজেই এই কাজটা হতে পারে, যদি লাগানাের সময় উপযুক্ত ভাবে মাটি তৈরি করে টবটি ভর্তি করা হয়ে থাকে।